চিনি আজকের পর্ব
বাড়ির সবাই হেমাঙ্গিনী কে ঘরে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে দ্রোণ সেখানে এলে ত্রিত্ব দ্রোণকে বলে মা কোথায়? দ্রোণ বলেন, আমি ভাবছি যে রেললাইনের বস্তির ধারে তার বাড়ি। তাই এই আলিশান বাড়ি আর সবার থেকে লুকিয়ে ঠাম্মিকে ভূতনাথ কাকার ঘরে রেখেছি তীর্থ দ্রোণকে বলে ইয়ার্কি হচ্ছে তুমি মাকে ওই ঘরে রেখেছ মা এই বাড়ির মাথা সে কিনা থাকবে ওখানে দ্রোণ বলে ডক্টর কে আমি তাই আমি ভালো বুঝব যে ঠামির কিসে ভালো হবে আর কীসে খারাপ আমি এক সপ্তাহের মধ্যে।স্বামীর সাথে কাউকে দেখা করতে দিতে পারব না। ঠাম্মির স্মৃতিশক্তি ফেরাতে গেলে এগুলো করতেই হবে। আর যদি থামি স্মৃতি ফিরে না আসে তাহলে আমি আর চিনি বাড়ি ছেড়ে চলে যাব। ঠাম্মির এই অবস্থা তার মধ্যে মাথায় চাপ পড়লে স্বামীর স্মৃতি ফিরে আসতে দেরী হবে এই বলে দ্রোণ সেখান থেকে চলে যায়। এদিকে চিনি রান্নাঘরে হেমাঙ্গিনী জন্য খাবারের বন্দোবস্ত করে তখনই সবাই এসে চিনকে দোষারোপ করে আর বলে দু জনের মাথাতেই বুদ্ধিটা তুমিই দিয়েছ না। সেই মুহূর্তে দ্রোণ রান্নাঘরে এসে এবং গিনির জন্য পান্তাভাত রেডি করে নিয়ে চিনি কে সাথে নিয়েসেখান থেকে চলে যায় সেই পান্তা ভাত হেমাঙ্গিনীর কাছে নিয়ে এসে হিমাঙ্গিনী কে খাওয়াতে গেলে হেমাঙ্গিনী নাক কোঁচকায়। আর আপন মনে বলে এই পান্তা গিলতে হবে বেশ বুঝতে পারছি আমার এই অবস্থার জন্য চিনি দায় এর হিসেব তোমাকে চুকিয়ে দিতে হবে। এরপর দরুন হেমাঙ্গিনী কে খাইয়ে দেয়। তখনই চিনি দ্রোণকে বলে, আপনি কি সবটা খাইয়ে দেবেন নাকি ঠাম্মি প্রথমবার ছেলের এই ঘরে এসেছে ছেলেরও তো ইচ্ছে করে মাকে কিছু খাইয়ে দিতে এই বলে তিনি ভূতনাথের হাতে থালাটা দেয় ভূতনাথ হেমাঙ্গিনী খাওয়াতে গেলে।হিমাঙ্গিনী ইচ্ছে করে থালাটা হাত দিয়ে ঠেলে ফেলে দেয়। আর নাটক করে বলে আমি ইচ্ছে করে ফেলিনি। বিশ্বাস করো তারপর চিনি 1:00 কাপড় আনতে যায়। ভাতগুলো পরিষ্কার করার জন্য তার পিছু পিছু দ্রোণ যায়। সেই সুযোগে তীর্থ হেমাঙ্গিনীর কাছে আসে ভূতনাথকে বলে তুমি একটু বাইরে যাও গিয়ে গাড়িটা গ্যারাজ করো ভূতনাথ সেখান থেকে চলে গেলে হেমঙ্গিনী তীর্থ বলে ওরা গর্জনকে ঘুমের ওষুধ দিতে দিচ্ছে না গজে গেলে কিন্তু সব কথা বলে দিলে বিপদ ওখানে চির আছে ওর চোখে ফাঁকি দিয়ে যা করার করতে হবে।তার পর সুযোগ বুঝে রাতে ওকে সরিয়ে দিতে হবে। তীর্থ হেমঙ্গিনী কে বলে তুমি চিন্তা কোরো না যা করার আমি করছি এই বলে সেখান থেকে চলে যায়। এদিকে চিনের গর্জনকে পাহারা দেয়। তখনই নার্স এসে বলে ওনার পুরো বডি স্পঞ্জ করাতে হবে। আপনি কি দাঁড়িয়ে দেখবে নাকি বাইরে যান চিরকালে আমি উল্টো দিকে ঘুরে যাচ্ছি যা করার এখানেই করুন৷ সেই ফাঁকে নার্স গর্জনকে ইঞ্জেকশন দিয়ে দেয়।